রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট খুলে পানি ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি বলেন, ‘হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ এমএসএলে পৌঁছানোর কারণে আজ রাত ১০টায় প্রতিটি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ কথা জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন ২১৩ মেগাওয়াট
তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন কাপ্তাই হ্রদ ও হ্রদের আশেপাশের উপজেলাগুলোতে বৃষ্টি না হলেও এর আগে টানা চার দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফলে হ্রদের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় স্পিলওয়ের গেইটগুলো খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় গেট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, কাপ্তাই হ্রদের ১০৮ ফুট এমএসএল পর্যন্ত বিপৎসীমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই পরিমাপে পৌঁছালে যেকোনো সময় হ্রদের পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ে দিয়ে ছাড়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
তারা আরও জানান, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাষিত হচ্ছে। এই পানি কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়ে। এতে কর্ণফুলীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী প্রয়োজনের চেয়ে পানি বেশি আছে। ফলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তবে ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি