ফেনীর ৯৫২টিসহ বৃহত্তর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ১৫০০ নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে জমা হয়ে আছে।
সোমবার রাতে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাব প্রধান ডা. ফজলে এলাহী খাঁন জানান, গত সপ্তাহ থেকে প্রয়োজনীয় কিটের স্বল্পতা দেখা দেয়ায় তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেন। তাদের ১৫০০ লাল রঙয়ের কিট বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তাদের যে পিসিআর মেশিন রয়েছে তাতে প্রয়োজন হলুদ কিট। হলুদ কিট না থাকায় তারা তা পরিবর্তন করে আনতে পারছেন না। কিট পেতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।
চিকিৎসক ডা. দীপন মজুমদার জানান, তারা প্রতিদিন দুই শিফটে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করলে সপ্তাহে তাদের প্রয়োজন প্রায় আড়াই হাজার কিট। গত ১১ মে থেকে এ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ৭০০টি। বর্তমানে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা রয়েছে প্রায় ১৫০০। এ ল্যাবে নোয়াখালী ছাড়াও ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কিট না থাকায় আপতত এ ল্যাবে নমুনা না আনতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব কো-অর্ডিনেটর অ্যধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, তারাও গত ১১ মে থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৭৫০টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষার জন্য দেড়শ থেকে দুইশ নমুনা হাতে রয়েছে। তবে তাদের কাছে ৭০০-৮০০ লাল রংয়ের কিট রয়েছে। এ দিয়ে আরও চার-পাঁচ দিন যাবে। এরই মধ্যে তারা কিট সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তিনি জানান, আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা আপতত বন্ধ থাকায় তাদের ওপর চাপ পড়েছে।