তারা হলেন- ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. আলেয়া ফেরদৌস তন্বি ও ডা. তানভীর রহমান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কিশোর কুমার ধর, ভৈরব থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বত্রিশ এলাকার জবা ভৌমিক (৬০) ও চৌদ্দশত ইউনিয়নের পাড়াপরমানন্দপুরের রকি (২২) এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার আউলিয়া আক্তার (২৫)।
এর আগে জেলায় আরও সাতজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাস থেকে মোট ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন চিকিৎসক, দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন ডিপ্লোমা ডেন্টাল এবং দুইজন গৃহিণী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ সাতজন সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ছয়জনকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বাকি একজন ভৈরব থেকে সুস্থ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, পর পর দুটি নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় বৃহস্পতিবার এ সাতজনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ডা. কিশোর কুমার ধর ছাড়া বাকি ছয়জনকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এর আগের দিন বুধবার জেলায় চারজন সুস্থ হয়েছেন। তারা হলেন- ভৈরব উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ী তৌহিদ আহমেদ ওরফে আর্থ কিশোর, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বদরুল ইসলাম এবং তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. সাবিহা পারভীন ও ডা. ইফতেখার আনাম নোমান।
এর আগে মঙ্গলবার জেলায় আরও তিনজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এই তিনজনের মধ্যে মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ভৈরব থানার এসআই মো. চাঁন মিয়া। এছাড়াও গত ২৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফ আহমেদ জনি।
এর আগে জেলায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইটনা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ গত ২৫ এপ্রিল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান।