সকাল ১১টা থেকে সিলেটের পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
পুনরায় কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। আগুনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি নগরবাসীকে জানাতে দুপুর ২টা থেকে নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দুপুরে কুমারগাঁও গ্রিড স্টেশন এলাকায় যান সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখন পর্যন্ত পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎহীন আছে। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের সব গ্রাহকরাই বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎহীনতার ঘটনাটি জনগনকে জানাতে মাইকিং করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনেরও সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন।’
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি ট্রান্সমিটারে আগুন লেগে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে জয়ন্ত কুমার নামে দমকলবাহিনীর এক সদস্য দগ্ধ হন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপপরিচালক শওকত হোসেন বলেন, ‘গ্রিড লাইনের আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ট্রান্সমিটারের জ্বালানি তেল থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের সিলেট কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে অনেক সময় লাগবে। আগুনে গ্রিড লাইন ও ট্রান্সমিটার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কার ও পরিবর্তন করতে হবে। তবে কতক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।