রবিবার বেলা ২টায় কড়া পুলিশি পাহারায় তাদের কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে নেয়া হয়।
ওই দুই ছাত্র হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)। তারা কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ইবনে মাসউদ (রা.) মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: ৪ আসামি কারাগারে
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে (মাদরাসার দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষক) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি শেষে মাদরাসার দুই ছাত্রের পাঁচদিন এবং দুই শিক্ষকের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের মধ্যে চারদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের খাস কামরায় মাদরাসার দুই শিক্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: কুষ্টিয়ায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৪
তারা হলেন- মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদরাসা ইবনে মাসউদ (রা.) এর হেফজ বিভাগের ওই দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য ওই দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: সিসিটিভি ফুটেজে ২ যুবক শনাক্ত
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে দেশব্যাপী ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের মধ্যেই এ ঘটনা নিয়ে কুষ্টিয়াসহ দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।