তারা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদরাসা ইবনে মাসউদ (রা.) এর হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯), দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং একই মাদরাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা: বাবুনগরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের এজলাসে চার আসামিকে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস জানান, ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের দ:বি: ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে ওই চার আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়। এর মধ্যে দুই মাদরাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং একই মাদরাসার দুইজন শিক্ষকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট দেখে শনাক্ত করার পর, অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদরাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য একই মাদরাসার দুইজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে: আ’ লীগ