আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে কাজ করেছে। পুলিশ বিদেশফেরত এসব ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ওই সব বাড়ির সামনে লাল নিশানা টাঙিয়ে দিচ্ছে। বাড়ির ফটকের সামনে প্রবাসীর দেশে আসার তারিখ লিখে স্টিকার এবং প্রবাসীর হাতে সিল লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী এসেছে দৌলতপুর উপজেলায়। এখানে ৩৯৮ জন এবং ভেড়ামারা উপজেলায় ২৭০ জন। ইতালি, সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বেশি। তারা বাড়ি আসার পর বিভিন্ন সময় এলোমেলোভাবে ঘুরাঘুরি করছিলেন। তালিকা পাবার পর পুলিশ মাঠে জোরালো অভিযান চালায়। ক্রাশ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়ি চিহিৃত করে নজরে রাখা হয়েছে। একজন করে আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশ প্রত্যেক প্রবাসীর বাড়িতে দিনে দুইবার খোঁজ নিচ্ছে। ওই প্রবাসীর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নজরে রাখাসহ ঘরের বাইরে বের হলেই মোটা অংকের জরিমানা করা হচ্ছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানান, উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চরাঞ্চলেও প্রবাসী আছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে লাল নিশানা টাঙানো হয়েছে। নিয়মিত সকাল-বিকাল খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, প্রবাসীদের কড়া নজরে রাখা হয়েছে। তারা যাতে ঘরের বাইরে ১৪ দিন বের না হতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সজাগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছে। সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করে ১৪ দিন হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে চলার অনুমতি দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে আটটি কৌশলপত্র নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে লকডাউনের বিষয়ও আছে। যদি কোনো এলাকা লকডাউন করা লাগে সেক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধপত্র কিভাবে পৌঁছাবে ও কি করণীয় সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।