জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এবার ধরলা ও তিস্তা অববাহিকায় বন্যা হতে পারে। ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে এ দুই নদীর পানি।
গেল ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহামুদ হাসান জানান, উজানে ভারতের গজালডোবা বাঁধ এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই পানি নেমে আসার ফলে আগামী দুই দিন ধরে ধরলা এবং তিস্তায় পানি বাড়বে। এতে ধরলা নদীতে বিপদ সীমার ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। তিস্তায় নদীতেও সমান হারে পানি বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, জেলার বন্যাকবলিত মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে থাকায় দুর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকট বেড়েই চলেছে। সংকট বেড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখির খাদ্যেরও। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ।
এসব এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম।