এখনও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়ায় বিপদ সীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চরাঞ্চলের মানুষেরা দীর্ঘ ২৯ দিন ধরে নৌকায় ও ঘরের ভেতর পানির মধ্যে বসবাস করায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। ত্রাণের অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যা দুর্গতরা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের। দুর্ভোগ বেড়েছে গৃহপালিত পশুর। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষজন ঘরে ফিরতে পারছেন না।
জেলায় এ পর্যন্ত বন্যায় প্রায় ৫০ হাজার বাড়িঘর বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার একর জমির ফসলি ক্ষেত। ৩৭ কিলোমিটার সড়কপথ এবং সাড়ে ৩১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২২ হাজার নলকূপের ক্ষতি হয়েছে। পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৩৯টি বিদ্যালয়।
টানা বন্যায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রিতরা রয়েছেন শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং গো-খাদ্যের সংকটে। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ চললেও এখনও অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।