কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার কৃষকরা। এবার দেরিতে বন্যা হওয়ার কারণে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেন। তারা প্রায় ৮০ ভাগ ফসল ঘরে তুললেও জুনের শেষে বৃষ্টির কারণে সবজির খেত ডুবে গেছে। ফলে বাড়তি লাভ করার স্বপ্ন পানিতে ধুয়ে মুছে গেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে পাটখেত ডুবে যাওয়ায় নিচু এলাকার পাটচাষিরা আগাম পাটকাটা শুরু করেছেন। ফলে কাঙ্খিত অর্জনের চেয়ে কিছুটা কম পাট পাবেন তারা।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, বন্যায় ক্ষতির কথা ভেবে জেলায় প্রায় ৮শ’ হেক্টর পাট আগাম কাটা হয়েছে। এতে সামান্য কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষকরা।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
সদর উপজেলার ধরলা নদী তীরবর্তী পৌরসভা, হালোখানা, ভোগডাঙ্গা ও পাঁছগাছী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নিম্নাঞ্চলের সবজি খেতগুলো ডুবে গেছে। রবিবার দুপুরে পাঁছগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার সবজী চাষিরা খেত থেকে সবজি উত্তোলন করছিলেন।