আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্তে হয়ে জেলার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিনই রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শীতের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়ার সমস্যা নিয়ে ১০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। এছাড়া জেলা সদরের বাইরে নিউমোনিয়ায় ১২ জন শিশু ও ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, আউটডোরে প্রতিদিন ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। গত কয়েকদিনে আনুপাতিক হারে এটি সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন
এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে ঠান্ডায় কাহিল এ জনপদের মানুষ। নিম্ন আয়ের ও দিনমজুর শ্রেণি মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হত দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কারণে এবারের বোরো চাষ কিছুটা বিলম্বিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে কুড়িগ্রামে বোরো বীজতলা নষ্টের উপক্রম
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, গত ২২ জনুয়ারি জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলা ও তিন পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ৩৫ হাজার কম্বল, শীত বস্ত্র কেনার জন্য ৬৪ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটের ভেতর ১০ কেজি চাল, এক কেজি করে ডাল, চিড়া, চিনি তেল ও আধা কেজি লবণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
আর েপড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭২৬
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৫৬৮