ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটানার পাঁচদিন পর শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত সুজন (২৫) শরিয়াতপুরের গোসাইরহাট থানার কোদালপুর এলাকার দাদন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে রেখে ধর্ষণ, অটোচালক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ঘাতক সুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, সুজন দীর্ঘদিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কলাতিয়া এলাকায় একটি ইট-বালির গদিতে চাকরি করতো। নিহত নারীকে সে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে। ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুজন ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি রোডের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায় ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়লে সুজন তাকে তারই ব্যাগে থাকা বিভিন্ন কাপড়ে পেঁচিয়ে আগুন ধড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাতে এলাকাবাসী আগুন দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বান ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগী নারী মারা যান। এঘটনায় ৩০ নভেম্বর ভুক্তভোগীর বোন বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, ওই মামলার সুত্র ধরে পুলিশ পাঁচদিন পর ২ ডিসেম্বর কলাপাড়া থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে। আটকের পর সুজন পুলিশের কাছে ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ায় জন্য সুজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫