বুধবার পর্যন্ত বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৬০১ জনের।
এর মধ্যে খুলনার ১৬০ জন। বাকিদের মধ্যে বাগেরহাটের ৩৮ জন, সাতক্ষীরার ৪৪ জন, যশোরের ৭৬ জন, নড়াইলের ২৫ জন, মাগুরার ২৩ জন, ঝিনাইদহের ৫৪ জন, কুষ্টিয়ার ১০৯ জন, চুয়াডাঙ্গার ৫৩ জন এবং মেহেরপুরের ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ মৃত্যু
করোনায় মৃত্যুবরণকারী ৬০১ জনের মধ্যে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৯৯ জন। অপর দু’জন বুধবার খুলনা করোনা ডেডিকেডেট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আর মৃত্যুবরণকারী দু’জনই বাগেরহাটের। অবশ্য খুলনা বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬০১ জনের মৃত্যু হলেও শুধুমাত্র খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন পরিচালিত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যু হয় ২৫০ জনের। যারা খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা এমনকি অন্যান্য বিভাগেরও বাসিন্দা।
এদিকে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও ৩২ হাজার ছাড়িয়ে ৩৩ হাজারের ঘরে পড়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় সর্বমোট ৩২ হাজার ৫৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ২৯৫ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সূত্র বলেছে, বুধবার পর্যন্ত মহানগরীসহ খুলনা জেলায় ৯ হাজার ৬৭০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৬০ জন। বাগেরহাট জেলায় বুধবার পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪৪৯ জনের। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৩৮ জন। সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয় ১ হাজার ৩৪৪ জনের, সুস্থ্য হন ১ হাজার ২৩৯ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ৪৪ জন, যশোর জেলায় শনাক্ত হয় ৬ হাজার ৬০৫ জনের, সুস্থ্য হন ৬ হাজার ২৫৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ৭৬ জন, নড়াইলে শনাক্ত হয় ১ হাজার ৮৪৭ জনের, সুস্থ্য হন ১ হাজার ৮০১ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ২৫ জন, মাগুরায় শনাক্ত হয় ১ হাজার ২৪৬ জনের, সুস্থ্য হন ১ হাজার ১৫৫ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ২৩ জন, ঝিনাইদহে শনাক্ত হয় ২ হাজার ৮৩৪ জনের, সুস্থ হন ২ হাজার ৬২১ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ৫৪ জন, কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয় ৪ হাজার ৭২৭ জনের, সুস্থ্য হন ৪ হাজার ৫২৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ১০৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয় ১ হাজার ৯০৫ জনের, সুস্থ্য হন ১ হাজার ৭৮৩ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ৫৩ জন এবং মেহেরপুরে শনাক্ত হয় ৯৪০ জনের, সুস্থ্য হন ৮২১ জন ও মৃত্যুবরণ করেন ১৯ জন।
বুধবার পর্যন্ত এ বিভাগের ১০ জেলায় সর্বমোট ৩২ হাজার ৫৬৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩০ হাজার ২৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৬০১ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়াল
করোনা শনাক্ত ও সুস্থ্য অথবা মৃত্যুর বাইরেও করোনার আশংকায় এখন পর্যন্ত বাড়িতে ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন অনেকেই। ভারত ফেরত কয়েকজনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে নমুনা পরীক্ষার পর যশোরের এক দম্পতি এবং সাতক্ষীরার ১১ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় শংকা যেমন বেড়ে চলেছে তেমনি খুলনায় এক যুবতী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাবস্থায় পুলিশের একজন এএসআই’র দ্বারা ধর্ষনের ঘটনায়ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত যাত্রীদের নিয়ে অভিভাবক মহলে চলছে আতংক। সেই সাথে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তিও এখানে ক্ষুন্ন হওয়ায় অনেকেই এটি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সূত্র মতে, বুধবার পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এমন মানুষের সংখ্যা যেমন ৬২ হাজার ৬৯৪ জন তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৩ হাজার ৬৭৪ জন।
কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এমন সংখ্যা বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী ছিল ৩০ হাজার ৭৪৮ জন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনায় অবমুক্তকরণের পর বুধবার পর্যন্ত