দুপুর ১২টায় ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলীম ও ইস্টার্ন মিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খালিশপুর বিআইডিসি রোড, আটরা আলীম ও জেজেআই জুট মিল গেটে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করে।
তবে, নওয়াপাড়া এলাকার জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রকিরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিলেও মিলের উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
খালিশপুর বিআইডিসি রোডে, আটরা ও রাজঘাট খুলনা-যশোর মহাসড়কে কর্মসূচি চলাকালে দফায় দফায় শ্রামিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আ. হামিদ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, সাহানা শারমিন ও মো হুমায়ুন কবীর, শেখ মো. ইব্রাহিম ও আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ সমাবেশ বক্তব্য দেন।
শুক্রবার গেট মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১১ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
১২ ডিসেম্বর অনশন কর্মসূচি চলাকালে আব্দুস সাত্তার (৫৫) নামে প্লাটিনাম জুট মিলের এক শ্রমিক মারা যান।
অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিনে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনশন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।