গেল বছরের অক্টোবর মাসে খুলনায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন। সব মিলিয়ে জানুয়ারি মাসে নতুন তালিকায় মাদক বিক্রেতার সংখ্যা ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর পারভীন আক্তার এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাদক বিক্রেতাদের হামলায় পুলিশের এএসআই আহত
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনায় আশঙ্কাজনক হারে মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগরীর লবণচরা, টুটপাড়া, পূর্ব বানিয়াখামার, আলমনগর এবং দৌলতপুরের দেয়ানা ও মহেশ্বরপাশা এলাকায় ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে এই জেলায় সাত হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে শিক্ষার্থী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকা, বাবা-মার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া। তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গ অন্যতম কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে পুলিশের সোর্স নিহত
সূত্র জানায়, গেল মাসে মাদক ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকায় নতুন যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের বাড়ি নগরীর টিবি ক্রস রোড, খালিশপুর হাউজিং এস্টেট, দোলখোলা ইসলামপুর রোড, তেরখাদা উপজেলার শেখপুরা মধ্যপাড়, খালিশপুর নিউমার্কেট এলাকা, রেলিগেট, রেল লাইনের পাশ, নয়াবাটি, গোবরচাকা গাবতলা মোড়, দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া পূর্বপাড়া, টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল রোড, বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারী গ্রাম, টুটপাড়া মাস্টারপাড়া, আলমনগর রেলিং মিল, বানরগাতি মেট্রোপোল, ক্রিসেন্ট রেল লাইনের পশ্চিম পাশ, মতিয়াখালী ৩য় গলি, টুটপাড়া সরকার পাড়া লেন, বকসিপাড়া মেইন রোড, তালতলা, সোনাডাঙ্গা ১ম ফেজ, কবি নজরুল রোড, ফারাজীপাড়া, উত্তর কাশিপুর, টুটপাড়া দারোগা পাড়া, মৌলভী দরগা রোড, আলমনগর রোলিং মিল, রূপসা ষ্ট্যান্ড রোড, মাষ্টারপাড়া, দাকোপ উপজেলার আচাভুয়া গ্রাম, চালনা বৌমার বটতলা এলাকা, তেরখাদা উপজেলার আজোগড়া গ্রাম, ফুলতলা উপজেলার যুগ্নীপাড়া গ্রাম, উত্তর আলকা, ছোট মির্জাপুর, রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রাম, কাজদিয়া মডেল ভিলেজ, পূর্ব বাগমারা, রহিম নগর গ্রাম ও ইলাহীপুর মধ্যপাড়ায়।
আরও পড়ুন:মাদকাসক্তির দায়ে চাকরি হারালেন ১০ পুলিশ সদস্য
ইন্সপেক্টর পারভীন আক্তার জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা রোড, ভোমরা ও বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রাম দিয়ে এবং নদী পথে ইয়াবা ও গাঁজা আসছে। প্রতিদিনই মাদক উদ্ধার হচ্ছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ
তিনি জানান, প্রতি তিন মাস অন্তর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ হয়। কখনও বাড়ে আবার এ সংখ্যা কখনও কমে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ছাড়াও র্যাব ও পুলিশ মাদক নির্মূলে অভিযান চালাচ্ছে।