গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফিরাজুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের গোয়ালপাড়া এলাকার গোলাম শাহ’র ছেলে ও ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড বাহাগুন্দা গ্রাম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারায় বিজ্ঞ সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শশক (এসআই) নিখীল চক্রবর্তী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেপ্তার ফিরাজুল ইসলামকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে এই মামলায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২। মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি পেলেও সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিগত ১৭ বছর ফিরাজুল ইসলামের অত্যাচার নির্যাতনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তটস্থ থাকতেন। বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর করে আসছিল।
২০১৯ সালে বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়িতে তার নেতৃত্বে আগুন দিয়ে চারটি গরু মেরে ফেলা হয়। এছাড়া নুর ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছিনে তিনি। ফিরাজুল ইসলামের ভয়ে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার