এদিকে, ভারী বর্ষণের কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়ে চার উপজেলার ২৬ ইউনিয়ন সম্পূর্ণরুপে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম মাসুদ পারভেজ জানান, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ চুঁইয়ে পানি অপর পাড়ে যাচ্ছে। এতে বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যার পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভিত্তিতে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া পানির চাপে খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ায় তা হুমকির মুখে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। এছাড়া গবাদি পশুরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মাসুদুল ইসলাম জানিয়েছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বন্যা কবলিত চারটি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২১ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান এবং বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এদিকে, পল্লী বিদ্যুত সমিতি ফুলছড়ির বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে বিদ্যুতের খুটি স্পর্শ না করার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।