বরিশালের হিজলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলায় গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাউলতলা গ্রামের আলমগীর তালুকদারের ছেলে সোহেল তালুকদার নামে এক যুবককে আসামি করা হয়েছে। সোহেল ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, মূলত ভুক্তভোগীকে শেকল দিয়ে ঘরের খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে সেখানে যাওয়ার আগে শেকল খুলে ফেলা হয়। পরে জানতে পারি, ভুক্তভোগীকে তার ভাই শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ৪
ওসি জানান, শেকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই ভুক্তভোগীর। তবে তিনি সোহেল তালুকদার নামে এক যুবকের নামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। এর আগে সোহেল ভিজিডি কার্ডের তালিকা করার জন্য ভুক্তভোগীর গ্রামে গিয়েছিল এবং সে সময়ই ভুক্তভোগীর সাথে তার যোগাযোগ হয়।
ওসি অসীম কুমার আরও জানান, মামলার পর ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভিজিডি কার্ডের তালিকা করার জন্য উপজেলার একটি গ্রামে গিয়েছিল সোহেল তালুকদার। তখন তার সাথে একাধিক সন্তানের জননী ওই নারীর পরিচয় হয়।পরিচয়ের সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সোহেল সবকিছু অস্বীকার করে। পরে গত ২৭ জুন তিনি বিয়ের দাবিতে সোহেলের বাড়িতে গেলে, সোহেল পালিয়ে যায়। ওই সময় সোহেলের পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।
ভুক্তভোগীর ভাই স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সোহেলের চাচা চেয়ারম্যান হওয়ায় এবং তার পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছু করার সাহস পাইনি। আর উপায় না পেয়ে বোনকে ঘরের মধ্যে শেকল দিয়ে আটকে রাখি।
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী অবগত নন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।