দোষী ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাদের কর্মবিরতী পালন করে যাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এমএম মঈনউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের কেড়ালকোপা গ্রামের কাজী আলমগীর ৭-৮ দিন যাবত জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার কার্যক্রম শুরু করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি সেখানে মারা যান। তখন রোগীর আত্মীয়রা দ্বায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অপূর্ব বিশ্বাসকে মারপিট শুরু করে আহত করেন। এসময় ওই চিকিৎসকে বাঁচাতে অন্য চিকিৎসক, নার্সরা ছুটে আসলে তাদের ওপর তেড়ে যায় রোগীর আত্বীয়রা গালিগালাজ করে।
এ ঘটনার জের ধরে ডাক্তারদের পক্ষ্যে শনিবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসীম উদ্দিন বাদি হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা না হলে চিকিৎসকেরা ধর্মঘটে যাবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।
বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় চিকিৎসকরা ইনডোর, করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালু রেখে বর্হিবিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।