বুধবার রাতে গাছ চাপায় ও ট্রলার ডুবিতে দুজন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া জেলার চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গপোসাগর মোহনা ইউনিয়ন চর কুকরী মুকরী ও ঢাল চরে ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কুকরীর চর পাতিলা ও ঢাল চরে ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ৪০০-৫০০ পুকুর ও মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামদ জানান, মনপুরা উপজেলায় ফয়েজ উদ্দিন, দক্ষিণ সাকুচিয়া, সূর্যমুখী এলাকা, উত্তর সাকুচিয়া মাস্টার এলাকা, রামনেওয়া এলাকায় ও তজুমদ্দিন উপজেলার বেড়ীবাঁধ জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে জিও ব্যাগ বসিয়ে রক্ষা করা হয়।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন জানান, কৃষকদের সর্তক করায় বোরো ধান কেটে নেয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। বরং জোয়ারের পানিতে আউশ আবাদে উপকার হবে। তবে সবজি খেতে ১০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হাকিম উদ্দিন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত ও গাছ চাপায় নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে।