এতে বনায়ন করা গাছপালা উপড়ে যাওয়া, বন বিভাগের কয়েকটি অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং সুন্দরবনের মধ্যে খনন করা মিঠা পানির ১৭টি পুকুরে লবণ পানি প্রবেশ করে মিঠা পানির উৎস নষ্ট হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বনজসম্পদ এবং বন্যপ্রাণির কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আম্পানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর মঙ্গলবার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডিএফও মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় ১০টি রেন্টি গাছ, দুটি তাল গাছ, পাঁচটি নারিকেল গাছ, সাতটি ঝাউগাছ, একটি বটগাছ ও একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বনের মধ্যে ১৮টি জেটি, ২৪টি অফিস ও স্টাফ ব্যারাক, ২১টি সোলার, একহাজার ২৫৫ মিটার রাস্তা, গ্যাংওয়ে পল্টুন ৮টি, ওয়াচ টাওয়ার একটি, ফুট ট্রেইল দুটি,পানির ট্যাংক ১৬টি, হরিণ রাখার খাচার সেট একটি, ডলফিন প্যাবিলনের ফাইবার একটি,পাবলিক টয়লেট একটি, আরসিসি বেঞ্চ ট্রান্সফর একটি এবং দুটি গোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা এক হাজার ১২৪ ঘনফুট সুন্দরীগাছ।
বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপনের গঠিত কমিটির সদস্যরা সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে, শুধুমাত্র সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় এক কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বনাঞ্চলের ক্ষতি ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং অবকাঠামোগত ক্ষতি এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। তবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বনসম্পদ এবং বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ক্ষয়ক্ষতির এ প্রতিবেদন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।