এ ঘটনায় জড়িত মুক্তি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী ট্রেডিং ভারত থেকে ২০২ প্যাকেজের এক ট্রাক চকলেট ও অন্যন্য রকমারি পণ্য আমদানি করে, যার মেনিফেস্ট নম্বর ২৩৬১৬। চালানটি খালাসের জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স মুক্তি এন্টারপ্রাইজ কাস্টমস হাউসে প্রযোজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়। যার কাস্টমস বি/ই নম্বর -৪৬৫৭৯ ।
কাস্টমস-এর ডেপুটি কমিশনার বিলাল হোসেন জানান, চকলেট শিশু খাদ্য হওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই অফিসে নমুনা পাঠায়। এই মান পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র আসতে ১০ দিন সময় প্রয়োজন হওয়ায়, সিএন্ডএফ এজেন্ট মুক্তি এন্টারপ্রাইজ চকলেটের রাজস্ব পরিশোধ করে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পন্যটি বন্দরে রেখে বাকি পণ্য খালাশ নেয়ার জন্য কমিশনার বরাবর আবেদন করে। পরে ৭৪ কার্টুন চকলেট রেখে বাকি পণ্য মঙ্গলবার খালাশ করে নিয়ে যায় আমদানিকারক।
কিন্তু চকলেটের কার্টুনের ভেতর কাতান শাড়ী রিপ্যাকিং করে ৫০ কার্টুন শাড়ি কৌশলে বন্দরের বাইরে থেকে ট্রাকে লোড করে ঢাকায় যাওয়ার সময় বেনাপোল বাজার থেকে ঢাকা মে: অ-১১-২৮৫৩ নম্বরের ট্রাক আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে ট্রাকটি তল্লাশী করে দুই কোটি টাকার উন্নত মানের শাড়ি জব্দ করা হয়। পরে ট্রাকসহ শাড়ির চালানটি বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জমা দেয়া হয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘সিএন্ডএফ এজেন্ট মুক্তি এন্টারপ্রাইজ কৌশলে চুরি করে চকলেটের কার্টুনের পরিবর্তে বন্দরের বাইরে রাস্তা থেকে শাড়ীর কার্টুন ট্রাকে পুনরায় লোড করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি ট্রাকটি আটক করে।’
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে মুক্তি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।