দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল থেকে হালদা নদীর নয়াহাট এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
উল্লেখ্য, বুধবার নদীর কিছু কিছু অংশেও এ নমুনা ডিম পাওয়া যায় বলে ডিম সংগ্রহকারী জেলেরা জানায়।
এই প্রজনন মৌসুমে মেঘের গর্জন ও বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল হালদা নদীতে প্রবেশ করলে মা মাছ পুরোদমে ডিম দেবে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
জেলেরা বলেন, রাতে ডিম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অনেক ডিম সংগ্রহকারী নদীতে জাল নিয়ে নামলেও ডিম পাননি।
কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী দুই থেকে তিন গ্রাম ডিম সংগ্রহ করেছেন।
হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী রফিক বলেন, মা মাছ এখনও ডিম পুরোদমে ছাড়েনি।
আরও দুই-একদিন মেঘের গর্জন ও বৃষ্টিসহ পাহাড়ি ঢল হালদায় প্রবেশ করলে ডিম দেবে মা মাছ।
স্থানীয় জেলেরা জানান,হালদা থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু, পোনার দেশজুড়ে চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যায়। সাধারণ হ্যাচারিতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে উৎপাদিত পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বড় হয়। এতে মৎস্য চাষিরা লাভবান হয়।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আশারবাণী হচ্ছে বৃষ্টি হলে লবণাক্ততাসহ অন্যান্য প্যারামিটার সমূহের মান আদর্শ মানের মধ্যে চলে আসবে। অনুকূল পরিবেশ না পেলে অর্থাৎ বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হলে পাহাড়ি ঢল নেমে না আসলে চলতি পূর্ণিমার জো'তে (২ থেকে ৭ মে) মা মাছের ডিম ছাড়েনি।
সেক্ষেত্রে পরবর্তী চতুর্থ জো অর্থাৎ অমাবস্যার জো (১৬-২১) মে ডিম ছাড়ার সম্ভবনা আছে।
তা নাহলে পরবর্তী জুন মাসের পূর্ণিমার জো (১-৬) জুন অথবা সর্বশেষ (১৫-২০) জুন অমাবস্যার জো'তে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়বে।
আরও পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না