শুক্রবার রাতে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যানের সামনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য ও এক শিশুসহ ৫ জন আহত হয়। ঘটনার তদন্তে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ দল চট্টগ্রামে আসছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা প্রথমে ধারণা করেছিলাম শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে থেকে বিস্ফোরণের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এটি নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নগরীর প্রতিটি পুলিশ বক্স ও চেকপোষ্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অগোচরে কেউ হয়তো বিস্ফোরক রেখে গেছে হয়তো। এ ঘটনা তদন্তে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসছে। তারা এসে এটা কি ধরণের বিস্ফোরণ ছিল তা নিশ্চিত করবে।’
এদিকে পুলিশের অন্য একটি সুত্র জানায়, পুলিশ ট্রাফিক বক্সে অটোমেটেড সিগনাল মেশিনের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে।
এর আগে, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কাউন্টার টেরোরিজম, সোয়াত ও পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে কিভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।
বিস্ফোরণে ট্রাফিক সার্জেন্ট আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন ছাড়াও আহত হয়েছেন পথচারী জাহিদ বিন জাহাঙ্গীর ও মো. সুমনসহ ৩ জন।
আহত দুই পুলিশসহ তিন জনের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।