রবিবার হাতির আক্রমণে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকারি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বলেন, ‘হাতির আক্রমণে নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি নিরূপণ করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’
তিনি জানান, বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদল ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে যৌথভাবে কাজ করছেন। এছাড়া পুনরায় যাতে এই দুর্ঘটনা না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, দুপুরে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে উপজেলার কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে হাতির আক্রমণে এক শিক্ষকসহ তিনজন নিহত হন।
তারা হলেন-চরণদ্বীপ ইউনিয়নের চাঁদেরহাট পূর্ব সৈয়দ নগর এলাকার জাকের হোসেন (৬৫), কধুরখীল ইউনিয়নের মধ্যম কধুরখীল শরীফ পাড়ার আবু তাহের মিস্ত্রী (৬৫) ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার আব্দুল মাবুদ (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে লোকালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে হাতির পালটি জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের দিকে চলে যায়।