হাতি
চট্টগ্রামে হাতির আক্রমনে নারী নিহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্যহাতির আক্রমণে হালিমা খাতুন (৬০) নামে এক নারীরর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) উপজেলার বটতলী পুরাতন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পেছনের পাহাড়ে নিহতের বৃদ্ধার শরীরের খন্ড খন্ড অংশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে হাতির সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন
এর আগের সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত হালিমা খাতুন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ নুরের স্ত্রী৷ ৭ ছেলে নিয়ে জীবনযাপন করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, হালিমা সোমবার রাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে বন্যহাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় তার। তবে ঘটনাস্থল নির্জন জায়গায় হওয়ায় হাতির আক্রমণে মৃত্যুর কথা কেউ জানেনি। দীর্ঘরাত পেরিয়ে সকালে স্থানীয়রা পাহাড়ের পাশে তার শরীরের টুকরো টুকরো অংশ দেখে সন্তানদের জানায়।
নিহতের বড় ছেলে মো শাহাব উদ্দিন বলেন, হাতির আক্রমণে আমার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রাতে হাতির মারাত্মক আক্রমণে শরীর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তবে রাতে মায়ের মৃত্যু হলেও আমরা জেনেছি সকালে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘হাতির আক্রমণে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
৪ সপ্তাহ আগে
হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নেবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
হাতি সংরক্ষণে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের আওতায় হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল উন্নয়ন, নিরাপদ প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, হাতির সংখ্যা নিরূপণ ও গবেষণা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও, হাতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। হাতি বসবাসের এলাকা চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা। সভায় তিনি হাতি সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন এ বিশেষ কর্মসূচির আওতায় হাতির খাদ্য উপযোগী গাছের বাগান সৃজন, জলাধার খনন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত বেড়া নির্মাণসহ বেশ কিছু কার্যক্রম নেওয়া হবে। এছাড়াও, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে বায়োফেন্সিং নির্মাণ, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন এবং হাতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, হাতি সংরক্ষণ দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে মানুষের জানমাল সুরক্ষার পাশাপাশি হাতির অস্তিত্বও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বন সংরক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ক্লিন এয়ার প্রকল্পে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
১ মাস আগে
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ সংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বাচ্চা হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটির মৃত্যু হয়।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, আহত হওয়ার পর থেকে হাতিটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কম ছিল। তাছাড়া মাথায় আঘাত লেগে কান ও শুঁড় দিয়ে রক্তপাতও হয়েছে। পেছনের অংশ অবশ হয়ে যাওয়ায় দাঁড়াতে পারছিল না হাতিটি। গতকাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু তেমন একটা উন্নতি হয়নি। পরে বিকেলে হাতিটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতি
ময়নাতদন্তের পর হাতিটি পুঁতে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
জুলকার নাইন আরও বলেন, হাতিটির চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চেষ্টার পরও গুরুতর আহত হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকামুখী কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চুনতি বন্যহাতি চলাচলের জন্য নির্মিত ওভারপাস অতিক্রম করছিল। এ সময় একটি বন্যহাতির পাল ওভারপাসের উত্তর পাশে রেললাইন পার হচ্ছে দেখে ট্রেনটির গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সব হাতি পার হতে পারলেও আনুমানিক ১০ বছর বয়সী একটি হাতি শাবক রেললাইনে থেকে যায়। সেই হাতিটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
১ মাস আগে
গোপালগঞ্জে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মাহুতের মৃত্যু
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক মাহুতের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পোলসাইর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নজরুল কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু
স্থানীয় জানায়, সকালে টাকা তোলার সময় হঠাৎ মাহুতকে শুর দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে হাতিটি। আছাড় মারার পর হাতিটি একাধিকবার মাহুতের বুকের ওপর পাড়া দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয়রা হাতি ও হাতির অপর মাহুতকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক হাতি ও অপর মাহুতকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, নজরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির আক্রমণে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে
টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া কোনাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হাতিটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর এবং এটি একটি পুরুষ হাতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
তিনি জানান,পাহাড়ে খাদ্যের অভাবে কিছুদিন ধরে বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে আসছে। আজকেও লোকালয়ে আসলে স্থানীয় মো. হোসাইন নামে একজনের ভিটাবাড়িতে থাকা গাছপালা নষ্ট করে খাদ্য খুঁজছিল,এসময় হাতিটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, খাবার সন্ধানে হাতিটা আমার ঘরের পাশে চলে আসে। হাতিটা খাবার না পেয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। এসময় আমার ঘরের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার
৩ মাস আগে
হাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও এলাকার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উসমান আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে পাহাড়ি জনপদে বন্যহাতি তাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহত উসমান আলী নাকুগাঁও গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একদল বন্যহাতি নাকুগাঁও পাহাড় থেকে পাশ্ববর্তী এলাকায় নেমে আসলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের খেত বাঁচাতে বন্যহাতিদের তাড়া করলে একপর্যায়ে বন্যহাতির দল পাল্টা তাড়া দিলে উসমান আলীসহ অন্যরা দৌঁড়ে পালানোর সময় পা পিছলে খেতের আইলে পড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
বগুড়ায় মৃত হাতি উদ্ধার
বগুড়ায় সড়কের ধারে পড়ে থাকা একটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়েছে।হাতির মালিক বা মাহুতকে না পাওয়ায় হাতিটি কোথা থেকে এসেছে তা স্থানীয়রা বলতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শোলাগাড়ী মোড়ে মৃত হাতিটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে’ হাতি শাবকের মৃত্যু
জানা গেছে, স্ত্রী প্রজাতির এই মৃত হাতিটি বান্দরবান এলাকার আজগর নামের এক ব্যক্তির। হাতিটির বয়স প্রায় ৮০ বছর। বগুড়ার নামুজা এলাকার এনামুল নামে এক ব্যক্তি হাতিটির মাহুত হিসেবে কাজ করতেন।
হাতিটি বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় সার্কাসে ব্যবহার হতো। এ ছাড়াও হাতিটিকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দোকান, যানবাহন ও মানুষের কাছে টাকা তুলতেন মাহুত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন জানান, সকালে দুপচাঁচিয়া সড়কে শোলাগাড়ী মোড়ে স্থানীয়রা হাতিটিকে দেখতে পায়। তাদের কাছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। পরে পুলিশ, বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে রাতের বেলায় গাড়িতে করে নিয়ে এখানে ফেলে রেখেছে।
বগুড়া সদর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) নুর জাহিদ সরকার জানায়, হাতির আসল মালিক আসগরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। পার্বত্য এলাকার কারণে এখনও কথা হয়নি। তবে মহাস্থানগড় এলাকায় মমতাজ নামে আসগরের এক ভাতিজা বসবাস করেন।
হাতিটিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার অনুষ্ঠানে ভাড়া হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এর আগে থেকেই হাতিটি অসুস্থ ছিল। গতকাল সোমবার ট্রাকে করে হাতিটিকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছিল।
পথে সম্ভবত মারা যাওয়ার কারণে রাতে শোলাগাড়ী এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
এসআই নুর জাহিদ আরও বলেন, হাতিটির বয়স অনেক। অসুস্থও ছিল। হাতির মাহুত ও মালিকের ভাতিজাকে ডাকা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনে হাতির মৃত্যু
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
১ বছর আগে
মানুষের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণী
বিস্ময়কর সৃষ্টি জগতের স্পন্দনে মুখর প্রকৃতি অকপটে জানান দেয় জ্ঞানীয় ক্ষমতার দিক থেকে মানুষের সমকক্ষতার কথা। প্রাণের আশ্রয় এই নীল গ্রহের কিছু প্রাণীকুলের অদ্ভূত বুদ্ধিদ্বীপ্ততা পাল্লা দিয়ে চলে তাদের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে। সেখানে বিজ্ঞানের প্রখর বিশ্লেষণ অবাক বনে যায় তাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতার কাছে প্রকৃতগত পাশবিকতাকে হার মেনে যেতে দেখে। আজকের নিবন্ধটি হাজির করতে চলেছে- মানুষের ব্যাতিত পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণীকে। আপনার চিরচেনা প্রাণীটিকেও হয়ত এদের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। চলুন, বুদ্ধিমত্তা প্রকাশের এক ভিন্ন দিগন্তে প্রবেশ করা যাক।
মানুষ বাদে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০টি প্রাণী
ডলফিন
অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চতর জ্ঞানীয় ক্ষমতার জন্য মানুষের পরেই সর্বাধিক পরিচিত প্রাণীটি হলো ডলফিন। বিশেষ করে বোটলনোজ ডলফিন সামাজিক কাঠামো গঠন, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। এদের মস্তিষ্ক শরীরের তুলনায় বড় এবং এদের মস্তিষ্কের বিকশিত নিওকর্টেক্স অঞ্চলটি উচু স্তরের জ্ঞানীয় কার্য সম্পাদনে এদের সাহায্য করে।
ডলফিনের বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো তাদের হাতিয়ার ব্যবহার। এই দক্ষতাটি যে তারা শুধু আত্মরক্ষায় ব্যবহার করে তা নয়; শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা এটি ছড়িয়ে দিতে পারে তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
ডলফিনরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের নানা ধরনের কণ্ঠস্বর এবং শারীরিক অঙ্গ-ভঙ্গি ব্যবহার করে যোগাযোগের দক্ষতা দিয়ে। প্রতিটি ডলফিনের স্বতন্ত্র স্বাক্ষর হুইসেল রয়েছে, যা অনেকটা নাম বা সম্বোধনের মতো কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
বনমানুষ
শিম্পাঞ্জি, বোনোবোস, গরিলা এবং ওরাঙওটানের মত গ্রেট এপরা মানুষের নিকটতম আত্মীয়। এরা মানুষের মতোই সহানুভূতি, মনস্তত্ত্ব, হাতিয়ার ব্যবহার, যোগাযোগ এবং সুক্ষ্ম সমস্যা সমাধান করতে পারে। তাদেরকে যে বিষয়টি বিশেষত্ব দিয়েছে সেটি হচ্ছে- তাদের হাতিয়ার ব্যবহার করা এবং তা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা।
এই বনমানুষেরা পরস্পরের আবেগ চিনতে ও বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সাড়াও দিতে পারে। নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জানাতে তারা কণ্ঠস্বর, মুখের অভিব্যক্তি এবং শরীরের ভঙ্গিমা ব্যবহার করে। তারা অন্যান্য প্রাণী বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে এই যোগাযোগটি রক্ষা করতে পারে।
বনমানুষের যুগান্তকারী বিকাশ হলো, তারা নতুন প্রতীক বা সাংকেতিক ভাষা শিখে নিতে পারে।
হাতি
স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক হলো হাতির। তাদের প্রায় ২৫৭ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় তিনগুণ।
হাতির বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল তাদের মৃত সঙ্গীদের জন্য শোক করার ক্ষমতা। তারা মৃত পালের সদস্যের দেহ আলতো করে স্পর্শ করে বা আদর করে তাদের শান্তনা দেয়।
তারা হাতিয়ার ব্যবহার করে দূরের কোনো জিনিস তাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আনতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে নতুন কিছু শিখে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
হাতিরা বয়স্ক সদস্যের নেতৃত্বে একক পরিবার গঠন করে নির্দিষ্ট জায়গায় জটলা হয়ে বসবাস করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য অনেক দূর থেকে কম-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তিমি
অরকাস তিমি সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সব থেকে বুদ্ধিমান এবং ভয়ঙ্কর শিকারী। ঘাতক তিমি নামে পরিচিত এই দৈত্যাকার প্রাণী সামাজিক কাঠামো গঠন করতে পারে। প্রতিটি একক পরিবার আলাদা ভাবে আঁটসাঁট হয়ে একত্রে থাকে।
অরকাসের আছে সমস্যা সমাধান, উন্নত যোগাযোগ এবং বৈচিত্র্যময় শিকারের কৌশল প্রদর্শনের ক্ষমতা। তাদের বৃহৎ মস্তিষ্ক এবং বিভিন্ন কণ্ঠস্বর তাদের উচ্চ স্তরের জ্ঞানীয় ক্ষমতার পরিচয় দেয়। তাদের স্বতন্ত্র আওয়াজ বা ডাকের জন্য তাদের রয়েছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। তারা দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে এবং বিভিন্ন সময়ে জায়গা বদলের জন্য তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়।
এই অতিকায় প্রাণীগুলো সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অক্টোপাস
বহু উপাঙ্গবিশিষ্ট অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে অধিক বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে অক্টোপাস। অক্টোপাসের একটি সুক্ষ্ম স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে এবং প্রতি উপাঙ্গতে রয়েছে নিউরনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মস্তিষ্কের জটিল কাজগুলো সম্পাদন করে।
অক্টোপাস বুদ্ধিমত্তার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। অক্টোপাস সুনিপুণভাবে হাতিয়ার ব্যবহার দেখে অনুকরণ করে শিখে নিতে পারে। এই ক্ষমতাটি তাদের বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা যায় যে, অক্টোপাস যে কোনো বন্দি দশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য অদ্ভূত সব কৌশল অবলম্বন করে থাকে। মূলত তাদের অভূতপূর্ব অভিযোজন ক্ষমতাই এরকম নৈপুণ্য প্রকাশের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে ‘পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে’ হাতি শাবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি মৃত হাতিশাবক উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার চাম্বল দুইল্লাঝিরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাম্বল বন বিট কার্যালয় থেকে আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বনের পাশে জমিতে এক বছর বয়সী মৃত হাতি পড়েছিল। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন মৃত হাতিকে দেখতে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি শাবকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
তাদের ধারণা, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পাহাড়ের ঢালু থেকে নীচে পড়ে হাতির বাচ্চাটি মারা যায়।
তারা জানায়, খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে চাম্বল ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকালয়ে বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। এসব হাতি মানুষের বসতঘর ও ধানখেতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। খাদ্যাভাব দেখা দিলে শুষ্ক মৌসুমে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসে। হয়তো সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে লোকালয় গড়ে ওঠা বাসিন্দাদের ধাওয়া খেয়ে পাহাড় থেকে পড়ে এই হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।
জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘হাতিটির বয়স ১ থেকে দেড় বছর হতে পারে। পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে এই বাচ্চা হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চিকিৎসক টিম গেছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
১ বছর আগে
শেরপুরে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুহু মিয়ার ধানখেত থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যহাতির পাল খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে প্রবেশ করে কৃষকের ধান, সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা বিনষ্ট করছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একদল বন্যহাতি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকুঁড়া গ্রামের কয়েক কৃষকের ধানের জমিতে নেমে এসে পাকা বোরো ধান বিনষ্ট করে। শনিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক নুহু মিয়ার ধানখেতে একটি মৃত বন্যহাতি পড়ে থাকতে দেখেন।
এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ, বন বিভাগ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ জাতের। এর বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
১ বছর আগে