হাতি
শেরপুরে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুহু মিয়ার ধানখেত থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যহাতির পাল খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে প্রবেশ করে কৃষকের ধান, সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা বিনষ্ট করছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একদল বন্যহাতি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকুঁড়া গ্রামের কয়েক কৃষকের ধানের জমিতে নেমে এসে পাকা বোরো ধান বিনষ্ট করে। শনিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক নুহু মিয়ার ধানখেতে একটি মৃত বন্যহাতি পড়ে থাকতে দেখেন।
এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ, বন বিভাগ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ জাতের। এর বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে। বন্য হাতির আবাসস্থল ছিল, কিন্তু আমরা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছি। তাই বন্য হাতিরা বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসছে।
তিনি বলেন, নতুন করে আমাদেরকে তাদের আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখতে হবে। বনের মধ্যে আমাদের হাতির খাবার তৈরি করতে হবে। হাতি যে খাবারগুলো খায় সেই সকল গাছ রোপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মন্ত্রী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিসরনে সোলার ফ্রান্সিং প্যানেলের উদ্বোধন ও কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরকালে এই কথা বলেন।
তিনি বন্য এলাকায় বসবাসকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হাতির সঙ্গে আপনারা দ্বন্ধে জড়াবেন না। আপনাদের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমিন হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সিএমসি কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. শোয়েব খান।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
নেত্রকোণার কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকায় কাদায় আটকে একটি বন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্ট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক পাঠান কলমাকান্দা থানায় জিডি করেছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান জানান।
এ সময় মৃত হাতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কনিকা সরকার বলেন, ‘হাতিটির কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
মৃত হাতিটিকে মাটিচাপা দিতে ভেকু আনা হচ্ছে এবং বিকালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে দুর্গাপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান।
শুক্রবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাচগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেতগড়া গ্রামের ফসলি ক্ষেতের কাদা মাটিতে একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ধারণা , মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দলের মধ্যে একটি হাতি কাদায় আটকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতে বন্য হাতির এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল ইসলাম (৩২) কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান জানান, ভারতের বেতগড়া থেকে বন্য হাতির পাল সোমবার রাত ৯টার দিকে দেশে ঢুকে কৃষকের ফসল নষ্ট করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
গ্রামবাসীরা হাতিগুলোকে ধাওয়া করলে নুরুল একটি হাতির আক্রমণের শিকার হন।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
কেনিয়ার ভয়াবহ খরা চলছে। চলতি বছর পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হাতি ও জেব্রার মতো কয়েকশ’ বন্যপ্রাণী মারা গেছে।
শুক্রবার কেনিয়ার বন্যপ্রাণী পরিষেবা এবং অন্যান্য সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নজিরবিহীন খরায় কেনিয়ায় ২০৫টি হাতিসহ বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতি ছাড়াও, ৫১২টি নু-হরিণ, ৩৮১টি জেব্রা, ১২টি জিরাফ ও ৫১টি মহিষসহ আরও অনেক বণ্যপ্রাণী মারা গেছে।
কেনিয়ার কিছু অংশে গত দুই বছরে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পরপর চারবার খরা হয়েছে। যা গবাদি পশু সহ মানুষ ও প্রাণীদের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।এর সঙ্গে পানির ঘাটতির বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
প্রতিবেদন লেখকদের মতে, দেশটির পর্যটক আকর্ষণের কিছু জাতীয় উদ্যানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-আম্বোসেলি,সাভো ও লাইকিপিয়া-সাম্বুরু অঞ্চল।
জানা গেছে,সেখানে বন্য প্রাণীদের ওপর খরার প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সরকারের উদ্দেশে বন্যপ্রাণীদের জন্য জরুরি বায়বীয় আদমশুমারির আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যালিফ্যান্ট প্রতিবেশি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জিম জাস্টাস নাইমু’র মতে,বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দ্রুত পানি ও লবণ ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, হাতিরা প্রতিদিন ২৪০ লিটার (৬৩.৪০ গ্যালন) পানি পান করে।
এছাড়া গ্রেভির জেব্রার জন্য বিশেষজ্ঞরা খড়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
প্রবল বর্ষণে নাইজারে ১৭৯ জন নিহত
বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্য হাতির আক্রমণে আব্দুল মান্নান (৫০) নামে বিজিবির এক নায়েক সুবেদার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪৯ নং পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বিজিবির একটি টহল দল সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়ার ৪৯ নং সীমান্ত পিলার এলাকায় টহলে যায়। এ সময় জঙ্গল থেকে একটি বন্য হাতি ওই টহল দলের ওপর আক্রমণ করলে হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে বিজিবি সদস্য মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু মিছিলে আরও যুক্ত হলো ৩ জন
গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
হাতির আক্রমণে রাঙ্গুনিয়ায় কৃষকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে পদুয়া ইউনিয়নের ত্রিপুরা সুন্দরী ২ নম্বার ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল আজিজ (৬৫) ওই এলাকার মৃত গুনু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
বন বিভাগের নারিশ্চা বিট কর্মকর্তা মিন্টু কুমার দে বলেন, জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করতেন আব্দুল আজিজ। রাতে সবজি খেত পাহারা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে হাতি আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে ১ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামে হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন্যহাতি হত্যা মামলায় বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসর্মণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।তারা হলেন- রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও সাহাব উদ্দিন।বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও দক্ষিণ) সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের নারিশ্চা বিটে আসামিদের অবৈধভাবে স্থাপনকৃত বৈদ্যুতিক লাইনের বেড়ার সংস্পর্শে এসে একটি বন্যহাতিকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার তারা আদালতে আত্মসর্মণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য- এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাতি হত্যা মামলায় বাঁশখালী উপজেলার দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারাও সম্পর্কে বাবা-ছেলে ছিল। হাতি হত্যার অভিযোগে বাঁশখালীর পর এবার রাঙ্গুনিয়ায় দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হলো।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের তৈলা ভাঙ্গা বিলের কাদায় আটকে পড়া একটি হাতি সাত ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে হাতিটি কাদায় আটকে যায়। সকালে খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে হাতিকে উদ্ধার করে।স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম জানান, হাতিটি ভোররাত থেকে প্রায় ৭ ফিট নরম কাদামাটিতে আটকে যায়। মধ্যবয়সী হাতিটির চিৎকার পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা জানতে পারে৷ বিষয়টি বনবিভাগকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যুবনবিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির বলেন, বিলে কাদায় বন্যহাতি আটকে যাওয়ার খবরে বনবিভাগের কর্মী ও চিকিৎসকরা সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। বন্যহাতিটিকে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ দেয়া হয়। পরে দড়ি বেঁধে কৌশলে এটিকে উদ্ধার করা হয়। হাতিটিকে বনে ছেড়ে দেয়া হয়।শিলক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রায় সময় শিলকসহ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় বেষ্ঠিত চার ইউনিয়নে লোকালয়ে নেমে আসে বন্যহাতির দল। বিশেষ করে ধান পাকার মৌসুমে হাতির দল লোকালয়ে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠে। বন্যহাতির আক্রমণে ফসলের ক্ষতি ও প্রানহানির ঘটনাও ঘটেছে। বন্যহাতির তাণ্ডব কমাতে বনবিভাগের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে আরেকটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
হাতি হত্যা: শেরপুরে ২ আসামি কারাগারে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় বন আদালতে দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই মামলার চার আসামির মধ্যে কৃষক সমেজ উদ্দিন (৪৪) এবং মো. শাহজালাল (৪১) রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বন আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে।
আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরিফুল আলম খান তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামি সমেজ উদ্দিন ও মো. আশরাফুল পলাতক রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার দুইজনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বনবিভাগের মামলায় এজাহারে তাদেরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। হাতি হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত নয়, ওই ঘটনার সঙ্গে আমার মক্কেলদের সম্পৃক্ততা নেই। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের সমন পেয়ে আমরা স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছি।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
গত বছরের ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকার সোনাঝুড়ি টিলায় বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে সব্জীর আবাদ করা জমিতে জিআই তার দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের সংযোগ দেয় স্থানীয় কৃষকরা। রাতে হাতির দল খাবার সন্ধানে আসলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বন্যহাতি মারা যায়। এ ঘটনায় বনবিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় প্রথমে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। পরে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জিআই তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়নের ফলে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে হাতি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর তফসিল ১ এর বিধি লংঘন করায় ৩৬ ধারায় চার জনের নামে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন আদালতে চার জনকে আসামি করে হাতি হত্যার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের