সেই সাথে কারারক্ষী নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কারারক্ষী ইউনুস মিয়া সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। সহকারী প্রধান কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনা বিভাগীয় ডিআইজি প্রিজন্স ছগীর মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ: থানায় জিডি
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি প্রিজন্স একে এম ফজলুল হক জানান, কারাগারের ভিতর থেকে আসামি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কারাকর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যাদের বিরুদ্ধে অবহেলা অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে শনিবার সকাল থেকে বন্দী রুবেলের কোন খোঁজ না পেয়ে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে নিয়মিত বন্দী গণনাকালে ওই বন্দীর অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে সিনিয়র জেল সুপার এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। বিকালে কারাগারে ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজানো হয়।
নিখোঁজ বন্দী ফারহাদ হোসেন রুবেল গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আসেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের ‘পানিশমেন্ট’ ওয়ার্ডে থাকতেন হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল। শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেলসহ অন্য আসামিদের রুমে তালাবদ্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার ভোর ৬টায় আবার কক্ষের তালা খোলার পর যখন হাজতিদের রোলকল করা হচ্ছিল তখন সন্ধান মিলছিল না রুবেল নামের ওই হাজতির। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও তালাবদ্ধ একটা ভবন থেকে একজন হাজতির হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে কারা অভ্যন্তরে।