নিহতের বোন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে বুধবার রাতে রেলওয়ে থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর ১৩ নম্বর (পাহাড়তলী) ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ী কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক মো. নাছির, সাইফুল ইসলাম, জজ মিয়া, মো. আকতার, মো. বিল্লাল, মো. সানু, মো. হেলাল, নাছির ওরফে কালা নাছির ও মো. ইমন।
আরও পড়ুন: চসিকের মেয়র নির্বাচিত হলেন রেজাউল করিম চৌধুরী
চসিক নির্বাচন: নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন ওরফে আলম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফ্লোরাপাস রোডে রেললাইনের পাশে ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আটক
চসিক নির্বাচন ‘চূড়ান্ত তামাশা’ ছাড়া কিছু নয়: বিএনপি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এতে মাহমুদুর রহমানের সমর্থক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আরও চারজন আহত হন। একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: প্রাণহানি, সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখলে শেষ হলো চসিক নির্বাচন
আলাউদ্দিনের বোন জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই সকালে নাশতা খেতে বের হয়। নাশতা করে তার কাজে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমার ভাইকে গুলি করে মেরে ফেলেছে লাটিম মার্কার সন্ত্রাসীরা। তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।’
সিএমপির উপকমিশনার বিজয় বসাক এ প্রসঙ্গে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন মারা যান।