হাইমচরের ইশানবালার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আগুনে পুড়লে বসতভিটা থাকে কিন্তু নদীতে ভেঙে গেলে কিছুই থাকে না। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির একান্ত প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কারণে ঈশাণবালা বাজারের ১৫০ মিটার নদী ভাঙন এলাকার জন্য ৮০ লাখ টাকার কাজের বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আজ (শনিবার) বিকাল থেকে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হবে এবং মোট ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।
‘এতে ভাঙন আপাতত রোধ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও এখানে স্থায়ী বাঁধের জন্য একটি প্লান সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
ঈশানবালা বাজার জামে মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন সর্দার বলেন, ‘আমাদের এলাকার মসজিদও মাদরাসাগুলো ভাঙনের মুখে। নদী যে কোনো সময় বাজারের মসজিদটি নিয়ে যাবে। সরকার ভাঙনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমাদের পায়ের তলে দাঁড়ানোর মাটিও থাকবে না।’
নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সর্দার জানান, এ বছরের মেঘনার পানি দ্রুত বৃদ্ধির কারণে ঈশালবালা বাজারে অর্ধশতাধিক দোকান ও শতাধিক বসতভিটা নদীতে চলে গেছে।
এ ছাড়ার স্কুল, মসজিদ ও মাদরাসা, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। আরও কিছু স্থাপনা বিলীনের পথে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।