চার দফায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে মঙ্গলবার তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বিকাল ৪টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট একই আদালত প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদের মধ্যে লিয়াকত ও নন্দদুলাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও ওসি প্রদীপ আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। ফলে তিনদিনের রিমান্ড শেষে সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট তদন্তকারী সংস্থা র্যাব ওসি প্রদীপের জন্য আবার রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারকে চার দফায় ১৫ দিন রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
‘নিয়ম অনুযায়ী আর রিমান্ড চাওয়া যায় না, তাই ১ সেপ্টেম্বর আমরা রিমান্ড আবেদন না করে আদালতে হাজির করি,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। এরপর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।