বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতেও আবদুর রহিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির জানান, বুধবার রাতে ডা. রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা ও খাদিজাকে ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গী এবং খুলনার রূপসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত চার আসামির তিনজন রয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
এর আগে ডা. রকিব খানের হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই খুলনায় সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। বুধবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
তবে মূল আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকরা খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মদ নগরীর পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকাল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে শিউলী বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে ১৫ জুন রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা ১৫ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে রাইসা ক্লিনিকে গিয়ে ডা. রকিবকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন রকিব। পরে তাকে প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. রকিব খান।