মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো ৬০ বছর বয়সী ওই নারী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নয়।
এ বিষয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. আবুল হোসেন ইউএনবি প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোনো ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই নারীর ফোসকা হয়ে থাকতে পারে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে একটি কক্ষে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তার শরীরে মার্বেল ধরনের অসংখ্য ফোসকা ছিল।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক: ভারত ফেরত যুবক যশোর হাসপাতালে ভর্তি
পক্সের লক্ষণ মনে হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়দককে জানান। কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিলো।
শুক্রবার তাকে আবার হাসপাতালে আনা হয় এবং এ বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে।
ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে ফোসকা হতে পারে বলে মনে হয়েছে। আমরা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়েছি এবং আশা করি তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
আরও পড়ুন: শাহজালাল থেকে হাসপাতালে পাঠানো তুর্কি নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নন