মেডিকেল বোর্ড
আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, লিভার সিরোসিসসহ বেশ কিছু গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি (খালেদা জিয়া) যেকোনো সময় সংকটে পড়তে পারেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ড. এফ এম সিদ্দিক বলেন, লিভার সিরোসিসের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, 'আমরা যা করতে পারি সব করেছি। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য বিদেশের যেকোনো উন্নত প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'যথাযথ চিকিৎসার অভাবে' বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।
ড. এফ এম সিদ্দিক বলেন, 'মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই যে, যেকোনো মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি প্রতিষ্ঠানে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ট্রান্সসাগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শন্ট (টিআইপিএস) দিয়ে তার চিকিৎসা করার জন্য এখনও সময় আছে।’
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে (টিআইপিএস) প্রয়োজন।
বোর্ডের আরেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ঘন ঘন ব্যবহারের কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কাজ করছে না।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে 'অ্যাডভান্সড মেডিকেল সেন্টারে' চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরে যেতে হবে এবং পরে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে আদালতে আবেদন করতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী ইতোমধ্যে মীমাংসিত পিটিশনটি খোলার কোনো সুযোগ নেই। এটি খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।
তবে কিছু আইন বিশেষজ্ঞ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী মনে করেন, সরকার তার বিচক্ষণ ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারে।
গত ৩ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বর্তমান 'কাপুরুষোচিত' সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দিয়ে 'হত্যা' করতে চায়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে, তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না। পরে সরকার অষ্টমবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
১ বছর আগে
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, 'অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে তার মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে।'
গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে দুপুর দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
১ বছর আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকালে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, এদিন বিকাল ৫টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া এখনও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ‘তার কার্ডিয়াক পয়েন্ট এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়’।
তিনি বলেন, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
এর আগে রবিবার জাহিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক এবং কিছু জটিলতা থাকায় ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘শনিবার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি এখন সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় ওনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অন্য দুটি ব্লক অপসারণের জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, পরিবারের কোনো সদস্য ও বিএনপি নেতাদের এখন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গার সেই সন্দেহভাজন রোগী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নয়: মেডিকেল বোর্ড
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো ৬০ বছর বয়সী ওই নারী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নয়।
এ বিষয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. আবুল হোসেন ইউএনবি প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোনো ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই নারীর ফোসকা হয়ে থাকতে পারে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে একটি কক্ষে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তার শরীরে মার্বেল ধরনের অসংখ্য ফোসকা ছিল।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক: ভারত ফেরত যুবক যশোর হাসপাতালে ভর্তি
পক্সের লক্ষণ মনে হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়দককে জানান। কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিলো।
শুক্রবার তাকে আবার হাসপাতালে আনা হয় এবং এ বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে।
ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে ফোসকা হতে পারে বলে মনে হয়েছে। আমরা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়েছি এবং আশা করি তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
আরও পড়ুন: শাহজালাল থেকে হাসপাতালে পাঠানো তুর্কি নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নন
২ বছর আগে
হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড শনিবার জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খালেদার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত ১২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের তীব্র করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড খুব দ্রুত তার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: খালেদার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ড
এর আগে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মেডিকেল বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা এবং তার হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, লিভার ও কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়া দরকার, কিন্তু সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
২ বছর আগে
সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার বলেছেন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো তিনি (খালেদা) অসুস্থ। তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্লিজ, আপনারা সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। তিনি নিজেই দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহিদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের অসুস্থতা নিয়ে কেউ কেউ মজা করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা কেবল তাদের বিষয়টি বোঝার ক্ষমতা দেন। যদি সে এখন অসুস্থ না হতো, তাহলে কেন তার মেডিকেল চেকআপের প্রয়োজন হতো?’
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আলিয়া মাদরাসা মাঠে যেতেন, তিনি এখন হুইলচেয়ারে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি কতটা ভাল আছেন যখন তাকে হুইলচেয়ারে করে যেতে হয়?’
ডা: জাহিদ বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড মনে করছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে। কিন্তু সরকার তাকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে পৌঁছান এবং সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন বলে জানিয়েছেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতালে তার কিডনি, হার্ট ও লিভারের একাধিক পরীক্ষা করান। তারপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বাসায় ফিরে আসেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল
২ বছর আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শনিবার বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন ইউএনবিকে বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বিকালে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: ফখরুল
মামুন বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমই তাকে তার বাসায় চিকিৎসা দিবে। গত ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী এই বিএনপি প্রধানের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্তের ২৭ দিন পর ৪ মে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হন। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতা ও অন্যান্য শারিরীক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হৃদযন্ত্র, কিডনির সমস্যায় জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে গত ৬ মে খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সরকার তা নাকচ করে দেয়। গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
৩ বছর আগে
ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি: চিকিৎসক
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শরীরের অবস হয়ে থাকা ডান পাশের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৪ বছর আগে