শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বন্ধ থাকলে এর ফলাফল খুব ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
অবশ্য রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করাটা মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি প্রশ্ন। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তারা কি নিয়ম করল এবং সেখানে কোনো একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে কি ব্যবস্থা হলো, সেটা সেই রাজনৈতিক দল ও সেই প্রতিষ্ঠানের বিষয়। সেটা কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঠিক করে না।
সোমবার সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা হস্তক্ষেপও করি না। তবে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। অনেক মত আছে। কেউ বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত কেউ বলে থাকা উচিৎ। আমরা যদি গণতান্ত্রিক সমাজ চাই আমরা যদি সচেতন মানুষ চাই, সুনাগরিক গড়তে চাই তাহলে রাজনৈতিক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সেই সচেতনতা দলীয় রাজনীতি হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে থাকবে কি থাকবে না সেটা আবার সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নিশ্চয়ই। কিন্তু কোনো স্বাভাবিক সুস্থ্য প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করলে এর ফলাফলও আবার খুব ভালো হয় না। সেগুলো বিবেচনায় নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিজ ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর থেকে সেখানে নিষিদ্ধ রয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এর মধ্যে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষার্থীরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে একটি কর্মসূচি পালন করলে সেটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় উঠে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি যেমন খুব একটা স্বাস্থ্যকর জিনিস, একটা ইতিবাচক জিনিস। দলীয় রাজনীতি করতে গিয়ে সেই ইতিবাচকতা বজায় রাখতে হবে। সেটাও দলীয় রাজনীতিকে মনে রাখতে হবে। সেটাও যেন না হয়।’
আরও পড়ুন:এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী