গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান হলো জনগণের শেষ রক্ত দেওয়া।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণ আর কোনো রক্ত দেবে না। এবার জনগণ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দি বিশ্বরোড ঈদগাহ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সভায় ভিপি নূর এ কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদ দাউদকান্দি উপজেলা এই পথসভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
তিনি বলেন, ‘আমরা এক ফ্যাসিবাদ হটিয়ে আরেক ফ্যাসিবাদ দেশে আনতে চাই না। স্বৈরাচারী দলকে হটিয়ে আবার কোনো স্বৈরাচারী দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এছাড়া ফ্যাসিবাদের জননী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো সহজ কাজ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে রাজনৈতিক আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, কারাগারে গিয়েছেন। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ফ্যাসিবাদি হাসিনাকে হটাতে গিয়ে আহত হয়েছে এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
তিনি বলেন, গণ অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছে, তারপরও তাদের সঙ্গে কোনো আপস করেনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু তাদের যে সমস্ত কর্মকাণ্ড চলত, এখন কিছু ব্যক্তি সংগঠন ওই সব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। যারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তাদের বলব, এটা কোনো রাজনৈতিক সরকার না, কাজেই কোনো রাজনৈতিক দলের মাতব্বরি-বাহাদুরি করার কোনো সুযোগ নেই। যারা মাতব্বরি করবে, ফ্যাসিবাদির বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তেমনিভাবে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে চাইলে তাদেরও রুখে দিতে হবে।
তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গোলাম হয়ে কাজ করবেন না। যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পিরিতি করে প্রশাসন চালান, তাদের জায়গা প্রশাসনে হবে না। আপনারা অন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীনে আছেন, এখন কোনো রাজনৈতিক সরকার না, কাজেই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জনকল্যাণমূলক কাজ করবেন।
বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।