সিলেটের জৈন্তাপুরে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা দিনরাত উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ীর আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ আশপাশের পাহাড় ও টিলা কর্তন করে নানা অযুহাতে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
অপরদিকে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও চক্রটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলা গোয়াবাড়ী ঘুরে দেখা যায়, নতুন মুজিববর্ষের ঘর এলাকা, পুরাতন আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং গোয়াবাড়ীর বিভিন্ন ছোট বড় টিলা কর্তন করে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা দিন রাত পাথর উত্তোলন করছে। অব্যাহত পাথর উত্তোলনের ফলে গোয়াবাড়ী এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
রুবেল আহমদ, সেলিম আহমদ, বদর মিয়া, কামাল মিয়াসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, মানুষের কাজ কর্ম না থাকার কারণে গোয়াবাড়ী হতে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে। মানুষকে আগে বাঁচার সুযোগ করে দিন। তারপর পরিবেশ নিয়ে কথা বলুন।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
তারা বলেন, শ্রীপুর কোয়ারী কাগজে কলমে বন্ধ থাকলেও সেখানে পাথর উঠছে। কিন্তু আপনারা সেখানে গিয়ে যত পারেন লেখালেখি করেন। আমরা জানি সেখানে বড় বড় ব্যক্তিরা পাথর উত্তোলন করছে, শ্রীপুর নিয়ে আপনারা লিখবেন না। তাই গোয়াবাড়ী নিয়ে অযথা মানুষদের হয়রানি করবেন না। গোয়াবাড়ী এলাকার কোনো প্রকার ছবি ভিডিও না করতে প্রতিবেদককে নিষেধ করেন।
নাজমুল ইসলাম, হাসান মোহাম্মদ বদরুল, আমিনুর রহমান, সাব্বির আহমদ বলেন, অপরিকল্পিতভাবে গোয়াবাড়ী হতে যেভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে উপজেলা বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এখনই সময় পাথর উত্তোলন সঠিকভাবে বন্ধ করা, না হলে পরিবেশের বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। অনাগত বিপর্যয়ের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড) রিপামনী দেবী বলেন, আমি দু’দিন আগেও অভিযান পরিচালনা করে উত্তোলিত পাথর নিলামে বিক্রয় করেছি। পাথর উত্তোলন নিয়ে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট