ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোণে ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল (৩৫), ড্রাইভার রুহুল আমিন (৩২) ও মাস্টার সরোয়ার খান (৪০)। ড্রাইভার রুহুল আমিনের বাড়ি বাকেরগঞ্জ ও মাসুদুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর এবং মাস্টার সরোয়ারের বাড়ি পিরোজপুর।
এই ঘটনায় এপর্যন্ত নিখোঁজ চার জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ডিজেলের পরে পেট্টোল অপসারণের কাজ চলছে। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ এভি নির্ভিক কাজ শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া মাস্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেভিন থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং জাহাজের অবকাঠামো তীরের দিকে নিয়ে আসে।
এর আগে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। এই ঘটনার পর এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়।