নিহত আজিজ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার ছালেহ আহাম্মদের ছেলে। তাকে মাদক কারবারি দাবি করছে পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, শনিবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মহেশখালীয়া পাড়ার নৌকাঘাট এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
একপর্যায়ে সশস্ত্র ইয়াবা বিক্রেতারা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালানো হলে একটি এলজি বন্দুক, সাত রাউন্ড কার্তুজ এবং তিন হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
ওসির দাবি, গুরুতর আহত আজিজকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
পুলিশের দাবি, এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফ থানার উপ পপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মিশকাত ও কনস্টেবল রোমন দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।