খাগড়াছড়ি সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরবর্তী প্রত্যন্ত রথিচন্দ্র কার্বারিপাড়া ছাড়াও জেরক পাড়া এবং হেমকপাড়ার শিশুদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গেল এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিশুদের মধ্যে জ্বর দেখা দিয়েছে। তাদের শরীরে রেস (ঘামাচির মতো) উঠেছে। এর মধ্যে শনিবার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধনিকা ত্রিপুরা (৯) মারা গেছে। ধনিকা ত্রিপুরার বাবা অমি ত্রিপুরা এলাকার জুমচাষী।
এখন এলাকার প্রায় ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ বছরের নিচে।
এদিকে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চরণ বিকাশ ত্রিপুরার ছেলে পান্তই ত্রিপুরাকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চরণ বিকাশ ত্রিপুরা জানান, গ্রামের এমন আরও অনেকের অবস্থাই ভালো নয়। কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এবং আর্থিক সংকটের কারণে তারা শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি।
খবর শুনে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। তারা রথিচন্দ্রপাড়ার বটতলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের দেখেন। তারা চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মেডিকেল টিমের প্রধান দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার বলেন, ‘শিশুদের দেখে মনে হয়েছে তারা ভাইরাল ফিবার (জ্বর) ও ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তবুও লক্ষণগুলো (স্পেসিম্যান) ঢাকায় পাঠিয়ে কনফার্ম করার পরই বলা যাবে এটা হাম কিনা। হাম হলে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে।’
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘যদি এটা হামের লক্ষণ হয় অথবা শিশুরা হামেই আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে বিশেষ ব্যবস্থায় এমআর ক্যাম্পেইন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’