রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরে শহীদ মো. ফজলুল রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করছে। পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি আমরা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। আগে দেশে মহাসড়ক ছিল না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল কত কিছু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর সমালোচনাকারী ইউনুস ও খালেদা এখন কোথায়, প্রশ্ন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর
বিরাট সম্ভাবনার বাংলাদেশ নেতিবাচক সংবাদ শুনতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নেতিবাচক সংবাদ মানুষকে হতাশ করে। মানুষ এখন আশাবাদী। এখন নিয়োগের ক্ষেত্রে জাল করে ধরা পড়ে। আগে নিয়োগ হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।’
আরও পড়ুন:মুজিববর্ষে কোটি চারা রোপণে দেশে সবুজ বিপ্লব হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ বলেন, বে-টার্মিনালে অনেক আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারী আছে। সমঝোতা হলে চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দরের এ বার্ষিক সভা নিয়মিত হওয়ার দরকার। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন সম্পর্কে জানা যায়। পাশাপাশি বন্দরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয়ে এর সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া যায়। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এটি আমাদের দ্বিতীয় সভা। গত সভায় আলোচিত প্রায় সমস্যা চট্টগ্রাম বন্দর ইতোমধ্যে সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে।'
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করার দুঃসাহস নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলমের সঞ্চালনায় সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফার পরিচালক খায়রুল আলম সুজন ও চট্টগ্রাম বন্দরের সকল স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও বিকেএমইএ’র মো. হাতেম, মো. সিদ্দিকুর রহমান, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ অনলাইনে সভায় অংশ নেন।