দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকা নদী বন্দর এলাকা সদরঘাটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহারায়’ তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ওয়ার্ল্ড ভিশন, একশন এইড এবং ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি সহায়তায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এনামুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোন হাত নেই, তবে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর বর্তমান সরকার সে কাজটি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে দ্রুত উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অ্যাকোয়াটিক সি সার্চবোট, মেরিন রেস্কিউ বোট, মেগাফোন সাইরেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সহজ করার জন্য আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত ১৯ টি জেলার জন্য ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট সরবরাহ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হায়দার আলী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার মিয়াজী।