নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘঠেছে। থানায় উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকে গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যার পক্ষের সানোয়ার মোল্যা একটি মামলায় নড়াইলে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আফতাব মোল্যার লোকজন তাকে মারপিট করে। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকেরা আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। খবর পেয়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: উত্ত্যক্তের জেরে চিলমারীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ!
আফতাব মোল্যা পক্ষের আহতরা হলেন— করিম মুন্সি (৪৯), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্লা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭), জালাল মুন্সিসহ (৪৭) আরও অনেকে।
মিলন মোল্যা পক্ষের আহতরা হলেন— তৌহিদ মোল্লা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্লা (১২), হাসিব মোল্লা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্লা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫), দিদার শেখসহ (১৮) আরও অনেকে।
আহতদের মধ্যে আফতাব মোল্যা পক্ষের ফরিদ মোল্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এলাকায় রয়েছি। প্রতিপেক্ষর বাড়ি ভাঙচুরসহ সহিংসতা যাতে না ঘটে সে চেষ্টা করছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’