তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৬টায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এর আগে সোমবার পঞ্চগড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। ছিল কুয়াশাও। মঙ্গলবার তাপমাত্রা কমে গেলেও সকালেই সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে কমেনি শীতের মাত্রা, জানান তিনি।
এদিকে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন থমকে গেছে। একটানা শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তীব্র শীতে পঞ্চগড়ের লক্ষাধিক পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
জেলায় প্রায় দুই লক্ষাধিক অসহায় মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলায় সরকারিভাবে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে দাবি শীতার্তদের।