জেলার সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত ও সাহেবীজোত এলাকার চা বাগান ও জঙ্গলে দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি চিতাবাঘ অবস্থান করছেন এমন ধারণা থেকেই ওই চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা চা বাগান ও জঙ্গল কাটার নির্দেশনা দেন।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেন ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর ও তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহমেদ ও মো. জহুরুল ইসলামসহ বন বিভাগের লোকজন এসে ওই চা বাগান ও জঙ্গল কাটার নির্দেশনা দেন।
‘নির্দেশনা আনুযায়ী আমার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল ১৯ জন শ্রমিক লাগিয়েছেন। চা বাগান ও জঙ্গলটি খুবই ঘন হওয়ায় কাটতে সময় লাগছে। কবে নাগাদ কাটা শেষ হবে এটা বলা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রীর বড় ভাই রমজান আলীর সাথে ওই চা বাগান নিয়ে ৭-৮ বছর ধরে আদালতে মামলা চলমান আছে। এ কারণে চা বাগান থেকে পাতা উত্তোলন না হওয়াসহ পরিচর্যা না করায় চা বাগানটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
সাতমেরা ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল জানান, বাঘের আতঙ্কে আমার এলাকার লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়ে আসছেন। বাঘ ধরতে অভিযানের অংশ হিসেবে এই চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়েছে।
‘চা বাগানের দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে প্রশাসনের নির্দেশে এটি কাটা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি চিতাবাঘ একমাস থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ওই চা বাগান ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। বাঘগুলো এলাকাবাসীসহ ছাগল-গরুকে আক্রমণ করেছে। এলাকাবাসী বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন ও গন্ধ অনুভব করতে পারছেন।
বন বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে বাঘের অবস্থান আছে বলে নিশ্চিত করেছেন।