শুক্রবার দেবীগঞ্জ ইউনিয়নের খয়েরবাগান রাঙাপানি সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করছেন দেবীগঞ্জ ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও তার লোকজন দুটি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে সেতু সংলগ্ন কয়েক শতক জমির বনভূমি কর্তন ও উপরে ফেলেন। খবর পেয়ে রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাধা দেয়। এ সময় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীসহ তার লোকজন রেঞ্জ অফিসার আনোয়ারুল ইসলামসহ আব্দুর রাজ্জাক সরকার, মোজাফ্ফর হোসেন, বাদশা মিয়া, মিজানুর রহমান ও হযরত আলীকে মারধর করেন। পরে তারা গাছ কেটে নিয়ে যান।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে গাছগুলো কাটলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু বিষয়টি তারা আমাদের জানায়নি। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীসহ তার লোকজন আমাদের মারধর করেন। এ বিষয়ে আমরা দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।’
গাছসহ প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ওই জায়গাটুকু নদীবক্ষের জায়গা, বন বিভাগের নয়। সেখানে কিছু গাছপালা ছিল। এর ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে, নদীর ওপর সেতুর দুই পাশের দেড় শ মিটার সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়ক ব্যবহারকারীরা। স্থানীয়দের দাবির মুখেই নদীর গতিপথে বাধা হয়ে থাকা ওই অংশটুকু স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খনন করে দেয়া দেয়া হয়েছে। আমাদের কেউ বন বিভাগের কর্মীদের মারধর করেননি।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বন বিভাগের অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সেখানে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’