তারা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো.মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান, আশা এনজিওর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন ও বিদ্যুতের কাজে আসা দিনমজুর মো. ইমরান।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর বিকালে নদী বন্দরে চলমান ২নং সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যায়। এসময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন তীরে আসতে সক্ষম হলেও বাকি চারজন নিখোঁজ রয়ে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি টিম।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ জানান, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া স্পিডবোট চালানোর দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা খাজা সাদেকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার স্বীকার স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিলসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।