এ সময় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃক পণ্য ও কনক্রিট ভর্তি ২০ কন্টেইনার জব্দ করা হয়। এতে করে অন্তত ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান-সাকুরা স্টিল লিমিটেড (ঠিকানা-সিন্দুরিয়া পাড়া, ময়নামতি বাজার, বুড়িচং, কুমিল্লা) সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রুপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় একটি ঋণপত্র খোলেন। ঋণপত্রে পণ্যের মূল্য ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। উক্ত ঋণপত্রের আওতায় গত ২১/০৪/২০১৯ তারিখে দুবাইয়ের জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজ যোগে আয়রণ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০ কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় তড়িৎ খালাসের লক্ষ্যে কন্টেইনারগুলো সিসিটিসিএল ডিপোতে (বেসরকারি অফডক) পাঠানো হয়।
পণ্য আমদানিতে বড় ধরনের এই জালিয়াতির বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক দীর্ঘদিন কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেয়ায় এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ডকুমেন্ট দাখিল না করায় আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ টিম (এআইআর) কন্টেইনারগুলো পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় এবং কন্টেইনার খুলে দেখা যায় ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যহীন কিংবা স্বল্প মূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়।
তিনি জানান, এক্ষেত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাচারের প্রচেষ্টা ছিল কিনা অথবা রপ্তানিকারক এ দেশিয় প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণা করেছেন কিনা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট তা অনুসন্ধান শুরু করেছে।