শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় নতুন স্প্যানটি। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান বৃহস্পতিবার ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটির কাছে পজিশনিং করা হয়। যার ফলে শুক্রবার অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি স্থাপন করা সম্ভব হলো।‘
আসন্ন বিজয় দিবসের আগেই ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পুরোটাই দৃশ্যমান হবে। শেষ ‘২এফ’ স্প্যানটি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসবে।
সেতুর ৪২টি খুঁটির ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান।
স্প্যান বাসানো ছাড়াও সেতুর অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলছে। সেতুর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৮২ ভাগ, মূল সেতুর কাজের বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৯১ ভাগ, আর্থিক অগ্রগতি ৮৮.৩৮ ভাগ এবং সংযোগসড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তবায়ন শত ভাগ এগিয়েছে।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর স্প্যানের ওপরে যানবাহন চলবে। আর নিচে চলবে ট্রেন। স্প্যানের ওপরে সড়ক পথের জন্য ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব আর রেল চলার জন্য ২ হাজার ৯৫৯ রেলওয়ে স্ন্যাব বসবে। পুরোদমে চলছে এসব বসানোর কাজ। আর রেলওয়ে স্ল্যাবের সাথে ১ হাজার ৩১২টি লোহার গার্ডার বসছে।
দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২২ মিটার প্রস্ত এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুর কাঠামো।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেয়া হবে।