বানিয়াচঙ্গ উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচঙ্গ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, দুইটি জিআর মামলার আসামি ও দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে বুলবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে কয়েকজন পুলিশ বুধবার রাতে ওই গ্রামে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে থানায় আসার পথে মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মমিন মিয়া ও আসামির ভাই বদরুল মিয়াসহ একদল লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় বানিয়াচঙ্গ থানার এএসআই মোহাম্মদ তোহা, এএসআই সোহেল ও কনস্টেবল হাতিমুর রহমান আহত হন। এএসআই তোহাকে সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এএসআই তোহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম মিয়া জানান, আসামি গ্রেপ্তারের পর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মমিন মিয়া ও বদরুলসহ লোকজন পুলিশকে মারধর করেছে। তারা আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়।
বানিয়াচং থানার ওসি জানান, হামলাকারীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সন্দেহজনক চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।