রবিবার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলহাশ গ্রামের মাউদ আলীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
সূত্র জানায়, মহিনের বোন আয়শা আক্তারের অভিযোগ তার ভাইকে প্রেমের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই রাতে প্রেমিকার বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতনে করে মেরে ফেলে। এই অভিযোগ এনে প্রেমিকার বড় ভাই জামাল হোসেন (২১), মেহেদী হাসান (১৯), প্রেমিকা রিয়া মনি (১৮), প্রেমিকার বাবা আবুল হাসেমসহ (৫২) চারজনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে গত ২৬ জুলাই কুমিল্লা ৪নং আমলি আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় কোনো অপমৃত্যু বা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে কীনা এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় কোনো অপমৃত্যু বা হত্যা মামলা দায়ের হয়নি মর্মে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করলে, গত ২৯ জুলাই মহিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের পর মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেয়। গত ২৯ জুলাই রাতে মামলাটি দেবিদ্বার থানায় নথিভুক্ত করা হয়।
নিহতের পরিবার ও বন্ধুরা জানান, গত ১৮ জুলাই রাতে তারা দুজনই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে মেয়েটির বাড়ির আঙিনায় মিলিত হয়। পরে রাত পৌনে ১০টায় মেয়ের বড় ভাই মেহেদী হাসান মহিনের খালাতো ভাই আবু তাহেরের কাছে ফোন করে বলেন, ‘তোমার ভাই এখানে বিষ খেয়ে পড়ে আছে তাকে এসে নিয়ে যাও।’
নিহতের খালাতো ভাই আবু তাহের জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান, মহিন মাটিতে পড়ে আছে। মহিনকে উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার মুখে বিষের কোনো গন্ধ পাননি বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা।